কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর: বুনিয়াদি ও স্কুলশিক্ষা দুর্নীতির ঘুণপোকায় জর্জরিত। আর বাংলার উচ্চশিক্ষার প্রাঙ্গণে অহরহ বাড়ছে সাংবিধানিক প্রধান বনাম রাজ্য সরকারের লড়াইয়ের তীব্রতা। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের এই বেনজির সংঘাতেরই নিটফল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলোমেলো দশা ও সিদ্ধান্তহীনতা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সংঘাত চরমে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এমনকী, বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়, যার সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে, তাঁকেও সার্টিফিকেট দিয়ে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘ধনখড়ের সঙ্গেও বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু উনি এ রকম করেননি।’
শিক্ষা দফতরকে উপেক্ষা করে নিজের মর্জিতে অন্তরবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জল এমন গড়িয়েছে যে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। সিভি আনন্দ বোসের অবশ্য বরাবরের দাবি, এ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে দুর্নীতি হটাবেন তিনি। আবার সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক অবরোধ তৈরি করবে রাজ্য সরকার, বন্ধ করে দেওয়া হবে বেতন। দু-পক্ষের গোলমালে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হচ্ছেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা। যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লাটে উঠেছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। কী চলছে এই সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে? মাৎস্যন্যায়ের ধাক্কায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও কি বরবাদির পথে?
সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এবং পঠনপাঠন লাটে ওঠায় বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা এবং তার প্রতি অভিভাবকদের ঝোঁক আরও বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিণতিও কি তাই? এ সব নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘শিকেয় শিক্ষা’। দেখুন ১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০টায়।